সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৪ পিএম
অসুস্থ স্ত্রী দীপা বিশ্বাসকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নির্যাতনের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপার মৃত্যু হয়েছে এমন খবরে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে হাজির হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালের বিছানায় ফেলে রেখেই পালিয়েছেন স্বামী প্রসঞ্জিৎ বিশ্বাস শিবু। গত রবিবার ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে দীপার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দীপা বিশ্বাস (২৭) মুকসুদপুর উপজেলার কানুড়িয়া গ্রামের সুশান্ত কর্মকারের মেয়ে।
সুশান্ত কর্মকার অভিযোগ করে জানান, তার মেয়ে দীপাকে স্বামী শিবু ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। এর আগেও কয়েক দফা তার মেয়েকে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন নির্যাতন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে প্রসঞ্জিৎ বিশ্বাস শিবুর সঙ্গে দীপার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শিবা বিশ্বাস নামে তাদের দেড় বছর বয়সি একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। দেনা-পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রবিবার সন্ধ্যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন দীপাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দীপাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পেয়ে দীপা বিশ্বাসের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রসঞ্জিৎ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।