নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৫ পিএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৪ পিএম
ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করা হয়।
আসামিরা হলেন- মাদ্রাসা শিক্ষক আনোয়ার হোসাইন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল মামুন ও চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেল।
আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর কাজী মো. দিদারুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আমীরুল হক মানিক।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে স্থানীয় রিয়াজুল জান্নাত নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্র। মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে আসছিল সে। গত ১ অক্টোবর দুপুরে ওই ছাত্রকে শিক্ষক আনোয়ার হোসাইন তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল মামুন ও সলিমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেলের কাছে বিচার চান অভিযোগকারীরা। কোনো প্রতিকার না পেয়ে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর সোমবার ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে আদালতে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
বলাৎকারের অভিযোগ উঠা ওই শিক্ষক ছাড়া মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করার কারণ জানতে চাইলে বাদী বলেন, বলাৎকারকারী শিক্ষক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের আপন ভাগ্নে। অধ্যক্ষ তাকে ঘটনার পরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। চেয়ারম্যান ওই শিক্ষকের (আনোয়ার হোসাইন) কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ খেয়ে আমার ছেলের বিচারটা গত দুই সপ্তাহেও করেননি। বরং গত শুক্রবার চেয়ারম্যান বিচার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তাই এই দুজনও সমান অপরাধী হওয়ায় তিনজনকে আসামি করেছি।
এ বিষয়ে মামলার আসামি শিক্ষক আনোয়ার হোসাইন ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় এমপির পছন্দের প্রার্থীকে পরাজিত করার পর থেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এসব কথার কোনো সত্যতা খুঁজে পাবে না ইনশাল্লাহ।