× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ যুক্ত হবে : রেলমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫৯ পিএম

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ যুক্ত হবে : রেলমন্ত্রী

ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ ধরে মাতারবাড়ীতে যে ডিপ সি পোর্ট করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সেটির সঙ্গে যুক্ত করব। কাজেই বহুবিধ ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথটি করা হচ্ছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে দোহাজারী এলাকায় এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী মোটর ট্রলিতে করে দোহাজারী থেকে নবনির্মিত এই রেলপথ পরিদর্শন করেন।

দোহাজারীতে পরিদর্শন শেষে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির সর্বশেষ অগ্রগতি দেখার জন্য এসেছি। আশা করছি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রকল্পটির অবশিষ্ট কাজ শেষ হয়ে যাবে। দুয়েকটা স্টেশনের কাজ হয়ত বাকি থাকবে। তবে রেল চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। আমরা মোটর ট্রলি করে এখান থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাব। আগামী ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ একটা ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল রান করব। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পূর্বে পরিপূর্ণভাবে তৈরি কি না তা নিশ্চিত হতে ট্রায়াল রান হবে।

তিনি বলেন, এখন মানুষ বিমানে-সড়ক পথে কক্সবাজার যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ট্রেনে করে কক্সবাজার যাবে। সারা দেশের মানুষের এই রেলপথ নিয়ে আগ্রহ ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা সব সময় সাশ্রয়ী নিরাপদ ও আরামদায়ক। 

পর্যটকদের জন্য পর্যটন ট্রেন বা কোচ দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে উন্নত যাত্রীবাহী কোচ দেওয়ার উপযোগী করে কাজ করছি।

ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও ভাড়া নির্ধারণ হয়নি। আমরা যাচাই বাছাই করে এটা করব। ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর জন্য ভাড়া যা যা আছে সেগুলো আমরা দেখব। এই রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগই ছিল না। শুরুতে এটি ছিল দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।

এর আগে সকালে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তখন রেলমন্ত্রী বলেন, কালুরঘাট সেতু অনেক পুরোনো। এই সেতু মেরামতের কাজ চলছে, যাতে কক্সবাজার রুটের ট্রেন নিরাপদে চলতে পারে। সেতুর ওপর ১৫ টন মিটারগেজ ইঞ্জিনের ট্রেন আগামী ৩০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবেই চলতে পারবে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে ইঞ্জিন সেটি ১২ টনের। আমরা জানি যে, এই সেতু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটার সক্ষমতা যাতে বাড়ানো যায়, সে কারণে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। সংস্কারকাজ চলমান। এই ব্রিজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজ কালুরঘাটে হবে। যেটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা আশা করছি, আগামী বছর নতুন সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ডাবল লেইন মিটারগেজ এবং ফোর লেইনের সড়ক থাকবে একই ব্রিজের ওপর। কাজেই সেটি না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেভাবেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। ২ নভেম্বর আমরা এখানে আসব এবং ট্রায়াল রান করব। উদ্বোধনের পূর্বেই এই রেললাইনটি ভালোভাবে তৈরি হয়েছে কি না সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে চাই। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ হবে। তবে ছোটখাটো কিছু কাজ থাকতে পারে। একই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন যায়, যানবাহন চলাচল করে, মানুষও চলাচল করে। সেই পথচারীদের জন্য আমরা আলাদা করে একটা লেইন করে দিয়েছি। মূল ব্রিজের ভেতরে আসতে হবে না। এটি এর আগে ছিল না। আমরা আরও ৬ ফিট ওয়াকওয়ে করে দিয়েছি, সেটার কাজ শেষ হতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে। আগে মূল ব্রিজের কাজ শেষ হোক, এরপর ওয়াকওয়ের কাজ শুরু হবে। এটা নতুন একটা সংযোজন। 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা ব্রডগেজের ট্রেন চালাতে পারছি না। ধীরে ধীরে এগুলোকে ব্রডগেজে রূপান্তর করব।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের দূরত্ব ১৪৮ কিলোমিটার। আর দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। এই দোহাজারী থেকে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু হয়ে বন, পাহাড় বেয়ে এবং নদীর ওপর দিয়ে এই রেলপথটির নির্মাণ করা হয়েছে। 

প্রকল্পের নথির তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরে অর্থায়নসংক্রান্ত জটিলতায় বেশ কিছুদিন প্রকল্পটি থমকে থাকার পর ২০১৫ সালে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকসন্স কোম্পানি ২৬৮৮ কোটি টাকা এবং চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিইসসিসি ও দেশীয় ম্যাক্স কনস্ট্রাকসন্স ৩৫০২ কোটি টাকায় যথাক্রমে এক ও দুই নম্বর লটের কাজ পায়। পরে ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা