ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০২ পিএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাও ছিলেন তিনি। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও দুইজন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার মিনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হাবিবুর রহমান রিপন আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তিনি। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আমিনুর ও রাসেল নামে দুইজন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য রঞ্জু হোসেনের গ্রুপ এবং হাবিবুর রহমান রিপন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ১৪ অক্টোবর রিপন মেম্বারের সমর্থক মুস্তাক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে রঞ্জু সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এর জেরে পরে রিপন মেম্বারের সমর্থকরা রঞ্জু গ্রুপের টেটন হোসেনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করে।
এদিকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করতে রবিবার রাতে শৈলকুপা থানায় কয়েক দফায় সালিশ বৈঠক হয়। তবে বিরোধ মেটেনি। পরে থানা থেকে রিপন মেম্বারসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মিনগ্রামের আবাইপুর এলাকায় এলে তাদের ওপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রিপন, আমিনুর রহমান ও রাসেলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
রাতেই গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। আমিনুরকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। আর রাসেল চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে।
নিহত রিপনের ভাতিজা নুর মোহাম্মদ মধু বলেন, ‘রাতে থানা থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা রাস্তার পাশের কলাবাগান থেকে ওঠে এসে হামলা করে।’
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।