চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন জিএম কাদের। প্রবা ফটো
সরকারের
লুটপাটের কারণে দেশ রিজার্ভ সংকটে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা)
চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ খারাপের থেকে
আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দশ বিলিয়ন কম হলে কোনো দেশের এলসি হবে না। দেশের
ব্যাংকগুলো খালি করা হয়েছে। দুদক দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
ছোট কর্মকর্তাদের দুদক দিয়ে হয়রানি করা হয়। কিন্তু বড় বড় দুর্নীতিবাজদের ছাড়পত্র
দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম
মহানগর জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশে প্রথম
আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরে বিএনপি চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ইশতেহারের ধারেকাছে যায়নি। সবক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদী দল তৈরি করেছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বি টিম হতে রাজনীতি করেনি।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে যখনই যে ক্ষমতায় গেছে, জাতীয়
পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই সরকারও জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা
করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই জনগণের হৃদয় থেকে জাতীয় পার্টিকে, লাঙ্গল প্রতীককে মুছে ফেলতে পারেনি। বরং আজকে সেই লাঙ্গল প্রতীক,
জাতীয় পার্টি আরও উজ্জীবিত হয়েছে, আরও
শক্তিশালী হয়েছে।
ক্ষমতার জন্য জাতীয় পার্টি লড়াই করছে না উল্লেখ করে জাপা
চেয়ারম্যান বলেন,
সরকার সাইবার আইন করে জনগণকে মুক্তচিন্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত
করছে। শুধু তাই নয়, সরকার দেশকে
একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ও গণতন্ত্রকে
হত্যা করছে। এই সরকার জনগণের জবাবদিহিমূলক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
যেকোনো ধরনের সমালোচনা করলে রাষ্ট্রবিরোধী কথা হলে সাইবার আইনে মামলা করা হচ্ছে।
সমালোচনা নিতে না পেরে আইন দিয়ে মুখ বন্ধ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো.
মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ
এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহুরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম
সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল
চিশতী ও এটিকিউ তাজ রহমান।
সম্মেলনের দ্বিতীয়
অধিবেশনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠকে পুনরায়
চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ইয়াকুব হোসেনকে সিনিয়র সহসভাপতি
এবং আবু জাফর মাহমুদ কামালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।