× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘অভাবের মাসে’ আগাম জাতের আমনে স্বস্তি

শেরপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৯ পিএম

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৮ পিএম

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত চাষিরা। প্রবা ফটো

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত চাষিরা। প্রবা ফটো

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে স্বস্তি মিলেছে কৃষকের। তাদের দাবি, আশ্বিন-কার্তিকে সীমান্তবর্তী এসব এলাকায় বেশ অভাবে দিন কাটাতে হতো। এখন সেই অভাব ঘোচাতে আশার আলো তৈরি করছে আগাম জাতের বিনা-১৭, বিনা-৭, তেজ গোল্ড, ধানি গোল্ড ধানের আবাদ। আগাম জাতের এসব ধানের ফলনও বেশ আশাব্যাঞ্জক বলে জানায় কৃষি বিভাগ। ফলে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের এসব জাতে আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। 

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গত মধ্য জুনে বোরো কাটা ও মাড়াই শেষ হওয়ায় আমন লাগানো শুরু হয় মধ্য জুলাই থেকেই। এ কারণে ধানিজমিতে কৃষকরা আগে আলু, সরিষা ও শস্য চাষ করার সময় পেত না। কিন্তু এখন আগাম জাতের ধান চাষ করে সেই জমিতে অনায়াসেই আলু বা শস্যের চাষ করার পরও বোরো ধান লাগাতে পারছে।

স্থানীয় একাধিক কৃষক জানায়, আগে জমিতে বছরে দুবার বোরো ও আমন ধানের চাষ হতো। এর মধ্যে ওই ধানিজমিতে অন্য ফসল চাষ করার তেমন সুযোগ ছিল না। ফলে সীমান্তবর্তী এ এলাকার চাষি ও কৃষিশ্রমিকরা পড়ত অর্থ সংকটে। আশ্বিন-কার্তিকে অভাবে দিন কাটাতে হতো। এখন সেই অভাব দূর করে দিয়েছে আগাম জাতের হাইব্রিড ধান।

উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের আদর্শ কৃষক সরকার গোলাম ফারুক বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকেই ধান চাষ করছি। আমন ধান কাটার উপযোগী হতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগে। এই সময়ে এসব নিচু জমিতে অন্য কোনো ফসল চাষ করা সম্ভব নয়। এবার দেড় একর জমিতে বিনা-১৭ জাতের ধান লাগিয়ে লাভ গুনেছি। 

তিনি আরও বলেন, বছরে দুবার ধান চাষ করতে এক ফসল বিক্রি করে আরেক ফসলের জন্য খরচ জোগাতে হতো। এর সঙ্গে বন্যা, পোকামাকড় ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনক্ষেত নষ্ট হয়েও উৎপাদন কমত। কোনো বছর ফসল তো দূরের কথা ক্ষেতের খড়ও বাড়িতে আনাতে কষ্ট হতো। তবে বিনা-১৭ জাতের ধান লাগিয়ে সেই দুর্দিনের অবসান হয়েছে। 

একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের কৃষক মিজান মিয়া বলেন, ‘আমি ২০ শতাংশ জমিতে বিনা-১৭ লাগিয়েছিলাম। গত সপ্তাহে ধান কেটে বাড়ি আনছি। এই ধান আবাদে সার-পানি-কীটনাশক কম লাগছে। রোগবালাই নেই বললেই চলে, আবার ফলনও ভালো হয়েছে।’ 

নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সম্প্রতি এখানকার একটি প্রদর্শনী প্লটের দেড় একর জমির নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। এতে আগাম বিনা-১৭ জাতের ধানের ফলন হয়েছে হেক্টরে ৬.৫ টন। 

উপজেলা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, আগাম জাতের ধান কৃষকরা ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারছে। আমনের অন্য জাতগুলোর তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ দিন আগে এ ধান পেকে যায়। ফলে বাকি সময়ে কৃষক অন্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছে। নালিতাবাড়ীর এ অঞ্চলে বিনা-১৭, বিনা-৭, তেজ গোল্ড ও ধানি গোল্ড জাতের ধান চাষ হচ্ছে। এ জাতগুলোর ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহও বাড়ছে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, আগে কৃষকরা বছরে দুটির বেশি ফসল ফলাতে পারত না। এখন ধানিজমিতে কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল ঘরে তুলতে পারছে। আগাম জাতের ধান চাষ, কাটা ও মাড়াইয়ের পরে বর্তমানে জমিতে আলু, সরিষা, মূলা ও অন্যান্য শস্য চাষ করছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা