মধ্যাঞ্চল অফিস
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০২ এএম
কিশোরগঞ্জ শহরের নীলগঞ্জ কলাপাড়া এলাকার সেতুটি প্রবল বর্ষণে অর্ধেক ভেঙে অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আট দিন হয়ে গেলেও উদ্যোগ নেই সংস্কারের। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ শহরের নীলগঞ্জ কলাপাড়া এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়া ব্রিজটির সংস্কারকাজ শুরু হয়নি আট দিন পরও। এর আগে ৫ অক্টোবর গভীর রাতে প্রবল বর্ষণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফলে ওই ব্রিজ দিয়ে জনসাধারণ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটি ও কলাপাড়াসংলগ্ন, নীলগঞ্জ রোডের ব্রিজ শোলাকিয়া থেকে তাড়াইল ও জেলা সদরে প্রবেশের একমাত্র যাতায়াতব্যব্স্থা। প্রস্থের তুলনায় ব্রিজটির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় বেশকিছু দিন থেকে এর পিলার থেকে মাটি ধসে দুর্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক ওই ব্রিজটি সংস্কার না করে নিয়মিত ব্রিজের ওপর দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনসহ ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল করত। ব্রিজটির মাঝখানের অংশটি দেবে গিয়ে দুই ধারের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে পড়ে। সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তিতে রয়েছেন ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহনের চালকরাও। বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি সংকীর্ণ হওয়ায় একটি গাড়ি উঠলে অপর পারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অন্য গাড়িকে। দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় হেঁটে চলা মানুষদের। এ ছাড়া পণ্য পরিবহন নিয়ে এলাকাবাসী জেলা শহরে আসতে তাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। অচিরেই ব্রিজটি সংস্কার করা না হলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
নীলগঞ্জ এলাকার অটোরিকশাচালক দুলাল মিয়া বলেন, ব্রিজটি অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। এক পাশ দিয়ে একটা অটোরিকশা উঠলে আরেক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গেছে। যখন তখন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুব দ্রুত ব্যব্স্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
কিশোরগঞ্জ ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে আমাদের।’
পথচারী জাকির হোসেন জানান, ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল চলছে। যেকোনো সময় ব্রিজের নিচে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান বলেন, ‘ব্রিজটি ধসে পড়ার পর সেখানে নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই নির্দেশনা পেয়ে যাব।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘জনসাধারণের চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যত দ্রত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’