রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৪৬ পিএম
নদীর স্বীকৃতির দাবিতে ভিন্নধর্মী কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রিভারাইন পিপল ক্লাব। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের খোকসা ঘাঘট নদীর পাড়ে নদীকর্মীরা উপস্থিত হয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় তারা খোকসা-ঘাঘটপাড়ে নদী বাঁচানোর আহ্বানে স্থাপন করে ‘আকুতিমূলক একটি সাইনবোর্ড’। সেই সাইনবোর্ডে খোকসা-ঘাঘট নদীর আত্মরক্ষার আকুতি তুলে ধরে লেখা হয়েছে- ‘আমি খোকসা-ঘাঘট নদী। আইনগতভাবে জীবন্ত সত্তা। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আমাকে তালিকাভুক্ত করেনি। আমার মতো বাদ পড়া শত শত নদীর পাশে দাঁড়াও।’
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত। সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব শিহাব উদ্দিন।
এতে বক্তব্য দেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম, কারমাইকেল কলেজ রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সম্প্রতি ‘বাংলাদেশর নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেছে। সেখানে শত শত নদীর নাম বাদ পড়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর বাদ পড়া রংপুর বিভাগের ১০৫টি নদীর নাম পরিচয় আমরা কমিশনে জমা দিয়েছিলাম। কমিশন সেসব আমলে না নিয়ে এসব নদীকে তালিকার বাইরে রেখে বই প্রকাশ করেছে। তারই প্রতিবাদে দেশব্যাপী তালিকা বর্হিভূত নদীগুলোর আত্মকথনমূলক সাইনবোর্ড আমরা স্থাপন করব। প্রতিবাদী এই কর্মসূচির শুরু হলো খোকসা ঘাঘট নদীর মাধ্যমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর শহরের সাতমাথা থেকে ১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ঘাঘট নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে এই নদী। সিএস রেকর্ডমূলেও এটি নদী। এখনও প্রবহমান। এরকম একটি নদী চোখে দেখতে না পাওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অথচ এ নদী থেকে তিন বছর আগে জেলা প্রশাসন অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।’
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের দায়িত্ব দেশের সব নদীগুলোকে তালিকাভুক্ত করা। সেই কমিশন যদি নদীর স্বীকৃতি না দেয় তাহলে কার কাছে খোকসা ঘাঘট নদী পরিচিত পাবে। এ নদীকে পরিচয়পত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা একেবারেই ভালো হয়নি।’
মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী খোকসা ঘাঘট নদীকে অবশ্যই তালিকাভুক্ত করতে হবে। এ নদীর দখলও উচ্ছেদ করতে হবে।’
ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত বলেন, ‘আমরা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি- বইয়ে বাদ পড়া নদীগুলোকে দ্রুত বইয়ে যুক্ত করা হোক।’
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।