বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০৩ পিএম
পটুয়াখালীর বাউফলে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়েও বহাল তবিয়তে থাকার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিযোগ, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পরেও নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন রেহেনা বেগম। এ ছাড়া ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ ও বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রেহেনা বেগম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন করেন। সেই মোতাবেক চলতি বছরের ২৫ জুলাই ছিল তার শেষ কর্মদিবস। তবে অবসরে যাওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তিনি প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল আছেন। এতে বিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। নষ্ট হচ্ছে পড়াশোনার পরিবেশও।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইনানুযায়ী ঐচ্ছিকভাবে কেউ অবসরে গেলে তা চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। তা সংশোধন বা প্রত্যাহার করার কোনো সুযোগ থাকে না। তারপরও তিনি কোন ক্ষমতা বলে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে আছেন তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
সভাপতি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একে অপরকে অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবসরের সিদ্ধান্ত কার্যকরের পাশাপাশি নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাই।
স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার বিষয়ে রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদন গ্রহণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রুত এ বিষয়ে আদেশ আসবে বলে আশা করছি।’