কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী (বামে) ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল (ডানে)। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগের সাইবার ট্রাইবুন্যালে মামলাটি করেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শুভাশীষ শর্মা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাইবার ট্রাইবুন্যালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।
বাদী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, ‘২০১৯ সালের ৩১ মার্চ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমে অনুষ্ঠিত ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। গত ১২ জুন কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আমার বড় ভাই মাশেদুল হক রাশেদ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ছিলেন। ইমরুল কায়েস চৌধুরী গত ৬ জুন কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবনিয়াছড়া এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। যেখানে ইমরুল আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘২০১৯ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি আটটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছি বলে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে আমি আটটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছিলাম। তা না হলে আপনি জুয়েল উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতেন না। একই বক্তব্যে ইমরুল আমাকে অকৃতজ্ঞ, অমানুষ বলে মন্তব্য করেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমার মানহানি ছাড়াও সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণকে বির্তকিত করা হয়েছে। তাই আমি মামলাটি করেছি।’
এই চেয়ারম্যান বলেন, ইমরুলের এই বক্তব্যের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। এরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
যদিও এ ধরণের বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিওটি প্রচার করেছে তা এডিট করা। ওটা তার বক্তব্য না।