সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
সিলেটের পৃথক স্থান থেকে নিখোঁজ হওয়া চার কিশোরের মধ্যে একজনের খোঁজ মিলেছে। বাকি তিনজনের খোঁজে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। নিখোঁজ হওয়া কিশোরেরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। পরে নিখোঁজদের স্বজনরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ কিশোরদের নাম- জালিজ মাহমুদ ওরফে সিয়াম, উসমান আহমদ, মাহফুজুর রাহমান ও ইয়ামিন আরাফাত। তাদের মধ্যে দুজন মাদ্রাসা, একজন স্কুল ও একজন কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাহফুজুর রাহমান।
পুলিশ ও নিখোঁজ কিশোরদের স্বজনরা জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহপরাণের রূস্তুমপুর এলাকা থেকে জালিজ মাহমুদ নিখোঁজ হয়। সে সিলেটের পীরেরবাজার এলাকার জহিরিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। জালিজ বরিশাল জেলার উজিরপুর গাজীরপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও সুলতানা বেগম দম্পতির ছেলে। খাদিমনগর রুস্তুমপুর আবাসিক এলাকায় মামা সোহাগ হাওলাদারের বাসায় থাকত সে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিক থেকে তার খোঁজ স্বজনরা পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সোহাগ হাওলাদার সিলেট মেট্রোপলিটন (এসএমপি) পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় জিডি করেন।
জালিজ মাহমুদের মামা সোহাগ হাওলাদার জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ব্যবসার কাজ থেকে ঘরে ফিরে ভাগনেকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। তবে তার সন্ধান পাননি।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার বীরমঙ্গল জামকান্দি গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে উসমান আহমদ। এ ঘটনায় উসমানের বাবা হানিফ আলী গোয়াইনঘাট থানায় ২৮ সেপ্টেম্বর জিডি করেন। উসমান স্থানীয় জামকান্দি নুরুল উলুম মাদানি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
হানিফ আলী বলেন, ছেলে নিখোঁজের দিন মাদ্রাসায় যায়নি। বাড়ি থেকে সকাল ১০টার দিকে বের হয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর থেকে ছেলের সন্ধান পাচ্ছেন না।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ কিশোরের সন্ধান করে সম্ভাব্য সব স্থানে সন্ধান করছে পুলিশ।
এ ঘটনার সপ্তাহখানেক পর ৪ অক্টোবর বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন জকিগঞ্জ উপজেলার ডেমার গ্রামের আবদুল বাসিতের ছেলে মাহফুজুর রাহমান। মাহফুজুর পাশ্ববর্তী উপজেলার গোলাপগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে অধ্যয়নরত। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর জকিগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ছেলেটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার মাহফুজুর রহমানের খোঁজ মিলেছে সিলেট শহরে। সে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়েছিল। পরে পরিবারের কাছে ছেলেটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ নিখোঁজ হন দক্ষিণ সুরমার শাহপরাণ সরকারি কলেজের ছাত্র ইয়ামিন আরাফাত। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল এসএমপির মোগলাবাজার থানায় জিডি করা হয়। ইয়ামিন আরাফাত মোগলাবাজার থানার শেখপাড়ার জামাল মিয়ার ছেলে।
জামাল মিয়া জানান, ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা।
মোগলাবাজার থানার এসআই সখিনা আক্তার বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার জিডি করেছে। পুলিশ ছেলেটার সন্ধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।