মেহেরপুরে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ
মেহেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০২ পিএম
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিয়াজান আলীর নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কোট চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মিয়াজান আলী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যখন নমিনেশন দেন তখন বর্তমান এমপি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আমাকে হারানোর জন্য তিন তিনটা বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। তারাই আবার বলে আমি আওয়ামী লীগ করি না। আমি রাজনীতি করি এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি।
তিনি বলেন, যারা এমপি হয়েছেন, যারা মন্ত্রী হয়েছেন তারাই সব সময় দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, মুজিবনগরের চারটি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনে জিতেছেন ফরহাদ হোসেনের প্রার্থীরা। যারা নৌকাকে পরাজিত করিয়েছেন তাদের হাতে যদি নৌকা যায় তবে সেই নৌকায় আমি উঠব না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেনেকে বাদ দিয়ে প্রার্থী দেওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ইউপি নির্বাচনে যারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাদেরকে আপনি মঞ্চের সামনে আসনে বসিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলান। আপনি প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মেহেরপুরে কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততে পারে না, মেহেরপুর কোর্টে আওয়ামীপন্থি আইনজীবী বেশি হলেও সেখানেও আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা জিততে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, আপনি মেহেরপুরের শিক্ষা ধ্বংস করেছেন, যুব উন্নয়ন ধ্বংস করেছেন, মহিলা অধিদপ্তর ধ্বংস করেছেন। বলতে লজ্জা করে পাসপোর্ট অফিস থেকেও আপনি টাকা নিতে ছাড়েন না।
মিছিলে আরও ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক এমএএস ইমন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চান্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।