বরিশাল অফিস
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২০ পিএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩১ পিএম
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ভাড়ায় চালিত বাইকচালক ফয়সাল আহম্মেদকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামিদের উপস্থিত এ রায় দেন। এ সময় রায়ে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওবায়দুল্লাহ সাজু প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, রাসেল হাওলাদার। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের বেল্লাল হোসেন, শাহিন মিয়া ও ইদ্রিস হাওলাদার। এছাড়া খালাস পাওয়া সৈয়দ মৃধা একই গ্রামের বাসিন্দা।
ফয়সাল আহম্মেদ বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় বাইক চালাতেন।
মামলার বরাতে সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে নলকূপ স্থাপন করতে যায়। পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিগ্রামে ভাড়ায় যায় ফয়সালকে। তারা ফয়সালকে একা পেয়ে পথরোধ করে তাকে নলকূপ বসানো পাইপ দিয়ে আঘাত করে আহত করা হয়। পরে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। তারা মরদেহ ইউসুফ হাওলাদার নামে একজনের দোকানের পেছনে লুকিয়ে রাখা হয়।
পরে তারা মৃত্যু ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ওই রাতেই লুট করা জিনিসের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে শহিদুল ইসলাম এসে তাদের মারামারি থামান। এ সময় শহিদুল ফোনের মধ্যে ফয়সালের ছবি দেখতে পায়। পরে শহিদুলের ঘরে পেছনে মোটরসাইকেল পেয়ে ফয়সালের বাবা বাদী নুরুল ইসলামকে খবর দেয়। তিনি এসে মোটরসাইকেল শনাক্ত করে।
একপর্যায়ে আটক চারজনকে মারধর করলে তারা ফয়সালকে হত্যা করে লাশ লুকানোর কথা স্বীকার করে। পরে ভোরে পুলিশ এসে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই দিন নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নামধারী পাঁচজনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও তিনজনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক নকীব আকরাম হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। বিচারক ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে এ রায় দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সৈয়দ মৃধার জড়িত না থাকায় তাকে খালঅস দেওয়া হয়েছে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নুরুল ইসলাম।