মেঘনায় ট্রলারডুবি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫৬ পিএম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় রবিবার (৮ অক্টোবর) আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে দুজন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জান্নাতুল মারওয়া নামে শিশুর মরদেহ চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ষাটনলের কাছে নদী থেকে উদ্ধার করে নৌপুলিশ। সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীর চরঝাপটা এলাকা থেকে পাওয়া যায় সাব্বির হোসেন নামে আরও একজনের মরদেহ। বিকাল সাড়ে ৫টায় মাওয়া নামে আরও এক শিশুর মরদেহ চরঝাপটা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে গতকাল সারা দিনে তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে গত শনিবার সুমনা আক্তার নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে মফিজুল ও সুমনার আরেক মেয়ে সাফা এবং সাব্বির হোসেনের ছেলে রিমাত। এরা সবাই একই পরিবারের স্বজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জান্নাতুল মারওয়া গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বোরহানউদ্দিনের মেয়ে। সাব্বির হোসেনের বাড়ি রংপুর জেলায়। এখানে পরিবার নিয়ে বোনের (সুমনার) শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ ফুলদি গ্রামে বেড়াতে এসেছিল সাব্বির।
এদিকে নিখোঁজ লাশের সন্ধানে নৌপুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস নদীতে গতকাল সারা দিন উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইলিয়াস খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল তিনজনসহ মোট চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও দুজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এদিকে ঘটনার দুদিন হলেও ঘাতক বাল্কহেডটিকে এখনও শনাক্ত বা আটক করা যায়নি। এই ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
গত শুক্রবার গজারিয়া উপজেলার দৌলদিয়াঘাট থেকে দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের ১১ যাত্রী নিয়ে নৌভ্রমণে বের হয়। ট্রলারটি বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ট্রলারটি গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে চর কিশোরগঞ্জ পৌঁছলে নারায়ণগঞ্জমুখী বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এই সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ছয়জন নিখোঁজ হয়।