মেঘনায় ট্রলারডুবি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:১৫ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৫০ পিএম
মুন্সীগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়ার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল অংশ এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনার চরঝাপটা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও তিন শিশু।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ মরদেহ উদ্ধার হওয়া দুইজন হলেন ৪০ বছর বয়সি সাব্বির হোসেন এবং আট বছরের জান্নাতুল মারওয়া। এর আগে গতকাল শনিবার উদ্ধার হয়েছিল সাব্বিরের বোন ৩০ বছরের সুমনা আক্তারের মরদেহ।
শিশু জান্নাতুল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি বোরহানউদ্দিনের মেয়ে। আর সাব্বির হোসেনের বাড়ি রংপুর জেলায়। পরিবার নিয়ে ছোট বোন সুমনার শ্বশুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সুমনার দুই সন্তান ছয় ও চার বছরের মাওয়া ও সাফা এবং সাব্বির হোসেনের দুই বছরের ছেলে রিমাত।
তাদের সন্ধানে নৌপুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আজ সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল অংশের মেঘনা নদীতে শিশু মারওয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে তাকে নৌপুলিশ উদ্ধার করে। আর সাব্বিরের মরদেহ পাওয়া গেছে মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনার চরঝাপটা এলাকায়।
গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলদিয়াঘাট থেকে দক্ষিণফুলদি গ্রামের ১১ যাত্রী ট্রলার নিয়ে মেঘনায় ঘুরতে যান। দিনভর ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে নারায়ণগঞ্জগামী বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।
এ সময় পাঁচ যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন একই পরিবারের চারজনসহ ছয় আত্মীয়স্বজন। তাদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে ঘটনার দুই দিন হলেও ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডটি শনাক্ত বা আটক হয়নি। এ ঘটনায় মামলাও হয়নি এখনও।