মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১০:২৮ এএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৮ পিএম
শনিবার সকালে শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। প্রবা ফটো
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিওটিএ।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম সুমনা আক্তার। তিনি গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
ট্রলারডুবিতে সুমনার চার বছরের মেয়ে সাফা, ছয় বছরের জান্নাতুল মাওয়া, আট বছরের মারওয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন সাব্বির হোসেন নামে এক যুবক ও রিমাত নামে দুই বছরের এক শিশু।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া উপজেলার লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনা নদীতেএ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবিতে একই পরিবারের চারজনসহ ছয় যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস রাত ৮টার দিকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
নিখোঁজদের স্বজন সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে পরিবার নিয়ে দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বাড়িতে আসেন। শুক্রবার বিকালে ট্রলার নিয়ে মেঘনায় ঘুরতে বের হন। নদীতে ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে আমার ভাই ছাড়াও তার স্ত্রী সুমনা, তাদের দুই মেয়ে সাফা ও মাওয়া, তার খালাশাশুড়ি, এক ভায়রা ও তার বাচ্চা, ভাগনি, ভাতিজি, ট্রলারচালকসহ ১২ জন ছিলেন। কয়েকজন জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। তার মধ্যে আমার ভাই ও ভাগনি শিরিন আক্তার মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
ট্রলারচালক রফিক মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ১১ যাত্রী গজারিয়া থেকে নৌভ্রমণে বের হন। দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা শেষে তাদের নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছিলাম। ট্রলারটি গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে পৌঁছলে নারায়ণগঞ্জমুখী বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।’
নৌ-পুলিশের এসআই ইলিয়াস খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলের ৫০০ গজ দূরে সুমনার মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার করে। পরে তার পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেন। বাল্কহেডটি শনাক্ত করা যায়নি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।’