চুয়াডাঙ্গায় বাবার হাতে মেয়ে খুন

সমিতির ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গায় বাবার ধারালো অস্ত্রের কোপে মর্জিনা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নিহত মর্জিনার মেয়ে রেকসোনা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন নানা আজিলুল হক। 

গত শনিবার রাত ৩টার দিকে আহত অবস্থায় মা এবং মেয়েকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঘাতক পলাতক রয়েছেন এবং রেকসোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত মর্জিনা খাতুনের মা সয়েনা খাতুন বলেন, স্বামীর কাছ থেকে তালাক পাওয়ার পর মর্জিনা তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তাদের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে মর্জিনা ও তার বাবা আজিজুল বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে সমিতির ঋণের কিস্তি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মর্জিনার সঙ্গে তার বাবা আজিজুলের ঝগড়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত মর্জিনাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তার বাবা। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে রেকসোনাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান তার নানা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বর্তমানে সেখানে রেকসোনা চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত অবস্থায় মর্জিনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া রেকসোনার দুই হাতে অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইমরান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, পারিবারিক কলহের জেরে বাবার অস্ত্রের কোপে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।