খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৬ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকরের দাবিতে খুলনার তিন ডিপো- পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। যার ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট যান তারা।
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে গত দুই বছর ধরে নানান কর্মসূচি পালন করছে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারিভাবে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেটির বাস্তবায়নের ওয়াদা করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেলেও এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। শুধু গেজেট প্রকাশ নয় তাদের দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পযর্ন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
তিনি আরও জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পযর্ন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় তেল বিক্রির কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এর আগে ডিজেলের ২ শতাংশ, পেট্রোলের ৩ শতাংশ এবং অকটেনের ৪ শতাংশ কমিশন ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য। কিন্তু সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা ৪ টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা, এবং ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্ত সে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্মঘটে তারা বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে, ধর্মঘটের ফলে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদাহসহ ১৫ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ গাড়ি মালিক ও চালকরা।
এর আগে, কমিশন বৃদ্ধি করে সাড়ে সাত শতাংশ করার দাবিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর সরকার কমিশন বৃদ্ধি করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু কমিশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর হয়নি। সে কারণে আবারো ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে।