গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৭ পিএম
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সালিশের কথা বলে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের চকামবাড়ি নয়াকান্দি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম ইসমাইল হাওলাদার। সে ওই এলাকার শহিদুল হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত ফিরোজা বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করেছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ফিরোজা বেগমের ঘর থেকে ইসমাইলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ইসমাইল হাওলাদার পার্শ্ববর্তী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা পাতানো খালা ফিরোজা বেগমের ঘরে প্রায়ই যাতায়াত করত। এ সুবাদে ফিরোজা বেগম ইসমাইলকে বিয়েও করায়। বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই ইসমাইলের সঙ্গে স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিরোজা বেগম ইসমাইলকে বাড়ি থেকে সালিশির কথা বলে ডেকে নেন। পরে শনিবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মা চায়না বেগম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে সালিশির কথা বলে ডেকে নেয় ফিরোজা বেগম। রাতে ঘরে ফিরে না এলে আজ (শনিবার) সকালে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। ওরা আমার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’