ত্রিশাল মডেল মসজিদ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩০ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
ধীরগতিতে চলছে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ। প্রবা ফটো
ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের দুই মাস পার হয়ে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। ৩০ জুলাই পঞ্চম ধাপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয়দের দাবি, মসজিদের কাজ চলছে ধীরগতিতে। উদ্বোধনের দুই মাস পরও এত কাজ বাকি থাকার কথা না। এ ছাড়া কাজের মান নিয়েও অসন্তুষ্টি রয়েছে তাদের।
৪০ শতক জমির ওপর ২০১৯ সালের মে মাসে ত্রিশাল পৌরশহরের কোর্টভবন এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজু এন্টারপ্রাইজ। বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের আগস্টে। তবে গণপূর্ত বিভাগ ময়মনসিংহ বলছে, করোনার কারণে সময় বেশি লেগেছে। সব প্রতিবন্ধকতার সমাধান করে নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। কিন্তু কাজ বাকি রেখেই তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে উদ্বোধন।
জানা যায়, সরকার ঘোষিত সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল এ মসজিদটি। কিন্তু পঞ্চম ধাপে এসেও ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। ফলে দুই মাস পার হলেও শেষ হয়নি কাজ। মসজিদের তিন তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও ফ্লোরে লাগানো বেশিরভাগ মারবেল টাইলসে ধরেছে ফাটল। বাকি রয়েছে পার্টিশন, প্লাস্টার, দরজা-জানালা, বিদ্যুৎ সংযোগ, টাইলস, সাজসজ্জাসহ নানা কাজ। মসজিদের বাইরের সীমানা দেয়ালের জন্য তোলা হয়েছে অর্ধেক পিলার।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ বাকি রেখে উদ্বোধন করা হয় এ মসজিদ। দুই মাস অতিবাহিত হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। মডেল মসজিদ নির্মাণে কাজ এত সময় লাগা দুঃখজনক। কয় মাস লাগে আল্লাহ ভালো জানেন।
মসজিদ পরিদর্শনে এসে ময়মনসিংহের এসডিই আশরাফুজ্জামান বলেন, উদ্বোধন হলেও একটু সময় লাগছে। কারণ এতে ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়াল সঠিক সময়ে মার্কেটে পাওয়া যায়নি। কাজ শেষ হতে আর কত সময় লাগবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আরও দুই-আড়াই মাস লাগবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নুরুন্নবী ভুইয়া রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে বিদেশে চিকিৎসারত ছিলাম। মসজিদের কাজ এজন্য একটু সময় লাগছে। আশা করি দেড়-দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেব।‘ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্মাণসামগ্রী গণপূর্তের প্রকৌশলী পরীক্ষা করার পর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ফ্লোরে যে মারবেল পাথর ফাটা তা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।’