বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০৭ পিএম
নিখোঁজ সাগর ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই। প্রবা ফটো
বগুড়া শাজাহানপুরে নিখোঁজের ১৩দিন পর ডোবা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ওই যুবকের নাম- সাগর ইসলাম। তিনি খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকার আবু মুছা, মো. কালাম এবং খাদাস আলুবাড়ী এলাকার বাবলু হোসেন।
পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর প্রতিদিনের বাংলাদেশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাগরকে ডেকে নেয় আসামিরা। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর সাগরের মা ঝর্না বেগম শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পিবিআই সাধারণ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুছা নামে এক আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মুছা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং সাগরের মরদেহ কোথায় আছে তা জানায়। মুছার দেওয়া তথ্যমতে আরও দুই আসামিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সাগরের বাসার অদূরেই শুক্রবার দুপুরে জমির ধারের পাশে ডোবা থেকে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অপহরণ করে টাকা আদায় করার জন্য সাগরকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তারা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাগরকে হত্যা করে মরদেহ পুঁতে রাখে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত সাগরের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং এ ঘটনা আরও অধিকতর তদন্ত করছি। আজকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাগরের চাচা রায়হান ইসলাম বলেন, এলাকায় মাদক সহজেই পাওয়া যায়। এই এলাকাটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ভাতিজার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। আমাদের ধারণা মাদক সংক্রান্ত কোনো জের ধরে সাগরকে তারা এই নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা জানের বদলে জান চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অথবা মাদক সংক্রান্ত জের ধরে সাগরকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।