বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৮ পিএম
ইজিবাইক উপহার দিয়ে হায়দারের মুখে হাসি ফোটালো পুলিশ। প্রবা ফটো
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা এলাকায় একমাত্র আয়ের উৎস ইজিবাইক হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হায়দার আলী। পরে তার ইজিবাইক হারানোর কাহিনী বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর নজরে আসে। হারানোর দুই মাস পর হায়দারকে নতুন একটি ইজিবাইক উপহার হিসেবে তুলে দেন পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইজিবাইক তুলে দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৩ জুলাই শহরের পৌর পার্ক এলাকা থেকে সদর উপজেলার বেলাইলের বাসিন্দা হায়দার আলীর উপার্জনের একমাত্র উৎস ইজিবাইক চুরি হয়ে যায়৷ এই ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে হায়দারের মানবিক আবেদন জেলা পুলিশের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক ১৫ জুলাই পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর নির্দেশে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হায়দারকে অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী সহযোগিতা দেওয়া হয়। পরে আজ হায়দারকে নতুন ইজিবাইকও দেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘হায়দারের ইজিবাইক হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম আসার পর তার মানবিক আবেদন জেলা পুলিশের নজরে আসে। ইজিবাইক উনার উপার্জনের একমাত্র উৎস ছিল। সেই সময় জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হায়দারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এরপরে হায়দারকে একটি ইজিবাইক উপহার দিতে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হয়৷ তাতে সাড়া দিয়ে ঢাকার ব্রান্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল মোস্তফা ইজিবাইক ক্রয়ে অর্থায়ন করেন। হায়দারের পরিশ্রম ও সৎ উপার্জনের সঙ্গী হতে আজ এই ইজিবাইক উপহার দেওয়া হয়েছে৷ জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে কাজ করবে।’
নতুন ইজিবাইক পেয়ে হায়দার আলী বলেন, ‘আমার খারাপ সময়ে পুলিশ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। ইজিবাইক চুরির পর থেকে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় এই দুই মাস খেয়ে পড়ে বেঁচেছিলাম। আজ উনিই আমাকে নতুন করে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন৷ পুলিশের প্রতি, পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি আমি ও আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ। জমিজমা ও ধারদেনা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজিবাইজ কিনেছিলাম। এখন দেনার সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারব।’
ইজিবাইক হস্তান্তরের সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, শরাফত ইসলাম, সুমন রঞ্জন সরকার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিওল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।