কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০০ পিএম
ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের শাখা। সংগৃহীত ফটো
লক্ষ্মীপুরের
কমলনগরে দুই হাজার গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে চরলরেন্স ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের
কর্মকর্তারা উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে গিয়ে
দেখা যায়, উপজেলার চরলরেন্স বাজারের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ব্যাংকের
সামনে শতাধিক গ্রাহক ভিড় করে আছেন। তিন দিন ধরে ব্যাংকের কোনো দায়িত্বশীলের খোঁজ
পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়
বাসিন্দা ফজলুল হক ও ইউছুফ আলী জানান, ২০১৫ সালের দিকে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের
হাবিব উল্লার ছেলে মহিউদ্দিন কুতুব উল্লাহ চরলরেন্স বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের শাখাটি চালু করেন। প্রথমে তার ছোট ভাই হারুনুর রশীদ স্বত্বাধিকারী ছিল। পরে তিনি নিজেই
এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নেন। তারা দুই ভাই ভালো আচরণের মাধ্যমে
গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেন।
এতে
উপজেলার চরলরেন্স, চরজাঙ্গালিয়া, চরপাগলা, করইতলাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার দুই হাজার
গ্রাহক থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। হঠাৎ তিন দিন ধরে তারা সবাই গা
ঢাকা দেয়। বর্তমানে ওই এজেন্ট ব্যাংকের শাখাটি তালাবদ্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের
মধ্যে চরপাগলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী ইব্রাহিমের স্ত্রী রওনক জাহান জানান, ৬ মাস আগে
এ শাখায় তিনি ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। প্রতি মাসে ৬ হাজার ৩০০ টাকার লোভ দেখানো হয় তাকে।
তিনি বলেন, তার চাচাতো ভাই মান্টু মিয়া ১০ লাখ টাকা রেখেছেন এ শাখায়।
চরলরেন্স
বাজারের ব্যবসায়ী মো. লিটনের ৪০ লাখ, মুরাদের ৩০ লাখ, মুন্সিরহাট এলাকার জান্নাতুল
ফেরদৌসের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা রেখেছেন। এভাবে দুই হাজার গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা
নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা।
লক্ষ্মীপুর
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাঈনুদ্দীন মিয়া জানান, তিনি ডাচ-বাংলা
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এজেন্ট শাখাটি
পরিদর্শন করেন। এখন এই শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয় মর্মে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে
দিয়েছেন। বিষয়টি তারা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।