‘নয়-ছয় মানব না আর, চাই জলবায়ু সুবিচার’

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ভুক্তভোগী মানুষের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরার যুবরা। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রতীকী যুব ধর্মঘট’ ব্যানারে এ দাবি জানায় কিছু শিক্ষার্থী।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘নয়-ছয় মানব না আর, চাই জলবায়ু সুবিচার’, ‘উপকূলের চিৎকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, ‘জলবায়ু সুবিচার এখনই দরকার’, ‘কার্বন ডাই অক্সাইডের বসবাস আমাদের সর্বনাশ’, ‘একটাই পৃথিবী, একটাই সুযোগ’ নানা স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সময় শিক্ষকরাও বক্তব্য দেন।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বলেন, ‘একটাই পৃথিবী, অতি ভোগ বিলাসের মাধ্যমে সুন্দর এই পৃথিবীকে বিলুপ্ত করো না। কার্বন দূষণের মাধ্যমে পৃথিবীর ধনী দেশের মানুষেরা বায়ুস্তর নষ্ট করে ফেলছে। ফলে পৃথিবীর সানস্ক্রিন বলে পরিচিত ওজোন স্তর নষ্ট হচ্ছে।’

‘এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। এতে ডুবে মরছি আমরা। বাড়ছে লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ বৈচিত্র্য, তৈরি হচ্ছে খাদ্য সংকট। কর্ম ও ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহীন হয়ে পড়ছে মানুষ’ যোগ করেন তারা।

এসবের প্রতিকার চেয়ে তারা বলেন, ‘আর নয় ছয় মানব না। জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। অধিক হারে কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের দায় নিতে হবে। ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে বাধ্য করতে হবে।’