‘মার যদি জনগণ শুরু করে তাহলে রেহাই পাবেন না’

কারও রাজত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বাক স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার অধিকার আদায়ের জন্য। কোনো রাজা-রানীর রাজত্ব চলবে না।’

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ থেকে খুলনায় বিএনপির রোডমার্চ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশে ঋণখেলাপি টাকার পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা গেল কোথায়, এই টাকা কে খেল, জনগণের ট্যাক্সের টাকা কোথায় গেল? এসব জানতে চাইলে, প্রতিবাদ করলে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান। দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে। 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না, আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করতে হবে। সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রোডমার্চের অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন ‘বর্তমান সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না। শয়তানির একটা সীমা আছে। আপনি নেতাকর্মীদের বন্দি করে রেখেছেন, তাই বলছি সময় থাকতে মুক্তি দেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। নইলে মার যদি জনগণ শুরু করে তাহলে রেহাই পাবেন না..।’

দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘এক দফার মাধ্যমে দেশের জনগণ ঐক্যবধ্য হয়েছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে সেটা হবে জাতীয় সরকার। আর খালেদা জিয়াকে যেখানে বন্দি করে রেখেছেন আপনার আগামী স্থান হবে সেই জায়গা, যেটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।’

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।