আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৬ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০০ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। প্রবা ফটো
সংবিধান সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের
সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নবনিযুক্ত
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদদের
আত্মত্যাগের সম্মানে নির্মিত। আমি ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা
জানানোর জন্য। তাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সংবিধান তৈরি হয়েছে। এ সংবিধানকে
সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এ শপথে বলিয়ান থাকার
জন্য আবারও আসলাম স্মৃতিসৌধে।’
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে ওবায়দুল হাসান এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন
বইয়ে সই করেন ও নিজের মন্তব্য লেখেন।
মন্তব্যে
তিনি লেখেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী
সব শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে
সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে
দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে, মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ
করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিগুলো
আমি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করব।
বীর
শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের
প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে সব
শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
এর আগে বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।