বরিশাল অফিস
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৮ পিএম
বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি বাজারের ইলিশ ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
মা ইলিশ রক্ষায় ২১ দিনের শিকার, পরিবহন ও মজুদের নিষেধাজ্ঞার সময় পেছানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বরিশালে পোর্ট রোডের বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি বাজারের ইলিশ ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল।
প্রাকৃতিক কারণে এ বছর মাছের মৌসুমের প্রতিটি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে সাগরে সতর্কতা সংকেত থাকায় জেলেরা সাগরে যেতে পারেননি। এ কারণে ইলিশ শিকার হয়নি। যার বিরূপ প্রভাব পড়বে আমাদের মোকামসহ সারা দেশের ইলিশ বাজারে। এ পরিস্থিতিতে শুধু বরিশালের মোকামে শতকোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ইচ্ছায় রপ্তানির কারণে কালোবাজারে মাছের চোরাচালানি যেমন কমেছে, তেমনি সরকারও আয় করছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। তবে সরকার ব্যবসায়ীদের কল্যাণে ইলিশ রপ্তানির যে কার্যক্রম শুরু করেছে, তা-ও মাছের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ওপর আসছে ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। এটিই আমাদের এখন ক্ষতির প্রধান কারণ। আমরা সরকারের মৎস্য বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ১২ অক্টোবর সরকারের যে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে, তা এক মাস পরে অর্থাৎ ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করতে অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখেছি নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের পেটে প্রচুর ডিম থাকছে। তাই এবার বিষয়টি বিবেচনা যেন করা হয়। ভারতে আমাদের দেশের মতো এত নিষেধাজ্ঞা নেই জানিয়ে টুটুল বলেন, সে সঙ্গে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে জাটকা ও চাপিলা ইলিশ আহরণ বন্ধে জোরদার ভূমিকা রাখা উচিত। তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।
তবে নিষেধাজ্ঞা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা বিমাল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, রপ্তানির সময়সীমার বিষয়টি মাঠপর্যায়ে আলোচনা করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। কারণ নানা গবেষণা করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২০১১ সালে বরিশালে ইলিশ উৎপাদন ছিল ১৫ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন, যা গত ১২ বছরে বেড়ে হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন।