মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:২১ পিএম
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেড় হাজার অবৈধ জন্মনিবন্ধনের ঘটনায় সারা জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিকলী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে এসব অবৈধ জন্মনিবন্ধন হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সিংপুর ইউনিয়নে ২১৪টি, গুরুই ইউনিয়নে ২৫৩, জারইতলা ইউনিয়নে ৫৪৮ ও ছাতিরচর ইউনিয়নে ৪৮৬ অবৈধ নিবন্ধন রয়েছে।
অবৈধ জন্মনিবন্ধনের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ওই চার ইউনিয়নের ৯ জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস পাঠিয়েছেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ শাকিলা পারভীন বলেন, চার ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধনে অনিয়ম হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাচাইবাছাই করে অবৈধ সব জন্মনিবন্ধন বাতিল করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অবৈধ জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি বড় অপরাধ। কয়েকজনের শোকজের জবাব পাওয়া গেছে। অন্যদের জবাব পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমরা বসব। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি ডকুমেন্টারি অপরাধ। তাই প্রকৃত অপরাধী ও যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের যথাযথভাবে তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।’