× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

সাইনবোর্ড অংশ যে কারণে মারণফাঁদ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০২ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড অংশ। প্রবা ফটো

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড অংশ। প্রবা ফটো

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড অংশের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনের সড়ক যেন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় সময়ে এখানে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে বহু যাত্রী ও পথচারীর। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই। 

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। যাত্রীদের যানজট থেকের মুক্তির পাশাপাশি নির্বিঘ্নে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সড়কটিকে আট লেনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। লেনগুলোতে ডিভাইডার ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়েছে সংস্করণের কাজ। তবে এত উন্নতির পরও বিভিন্ন কারণে কয়েকদিন পর পর সেখানে ঝরছে মানুষের প্রাণ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনের লেনটিতে গাড়ি পারাপারের সংখ্যা বেশি। তবে এক লেন থেকে অন্য লেনে যাওয়ার জন্য কোনো প্রকার সিগন্যাল বা সতর্কতা বিলবোর্ড দেওয়া হয়নি। যার কারণে পরিবহন চালকরা তড়িঘড়ি বা পাল্লা দিয়ে লেন পরিবর্তন করে থাকেন। শুধু তাই নয়, সড়কের ওই অংশটিতে অস্থায়ী সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে রাখা সিএনজির কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে প্রায় সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে। 

এদিকে সরকার থ্রি-হুইলার বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করলেও এ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যান। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন দৃশ্য দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ে না। 

জানা যায়, গত বুধবার রাতে চট্টগ্রামগানী লেনে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তার ঠিক ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী লেনে উল্টোপথে যাওয়ার সময়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় বাচ্চু মিয়া নামের এক রিকশাচালক মারা গেছেন। সেদিন রাত আনুমানিক ১০টার পর এ সড়কে চলাচলকারী সময় পরিবহনের গাড়ি ও পিকআপের সংঘর্ষে উল্টে যায় বাসটি। 

প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনের চায়ের দোকানি ফাহিম জানান, সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনের অংশটিতেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। নানা সময়ে অটোরিকশা উল্টোপথে পারাপারকালে এমন হয়। পাশাপাশি চালকদের তড়িঘড়ির কারণে যাত্রী বা পথচারীর মৃত্যু হয়। 

হিমাচল পরিবহনের এক চালক বলেন, ঢাকাগামী লেনের এ পাশ দিয়ে পারাপারে তাদের যাত্রীর সুবিধা বাড়ে। এ লেন দিয়ে গেলে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নেওয়ার সুযোগ হয়। 

পথচারী আল-আমীন বলেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে হুটহাট চালকরা লেন পরিবর্তন করেন। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উচিত সতর্কতা সিগন্যাল টাঙিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি পুলিশেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে এখানে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে যাবে। বেশিরভাগ সময়ে পরিবহন চালকরা মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। 

মল্লিক গ্রুপের এক সিকিউরিটি বলেন, এ অংশে দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে সিএনজি আর অটোরিকশা। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দুর্ঘটনা কমবে না। 

নিষেধ করা সত্ত্বেও কেন মহাসড়কে গাড়ি চালানÑ এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সড়কের রিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, পেটের দায়ে সেখানে যান। ওইখানে যাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে। মাঝে মধ্যে পুলিশ রিকশা আটক করলেও রেকার বিল পরিশোধ করে ফের এই সড়কে চলাচল করে।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরিফুদ্দিন জানান, সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে সেটা তো আমাদের দায় না। কারণ মানুষের অসচেতনতায় এমন দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। ফুট ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও মানুষ সড়ক দিয়ে পারাপার হয়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ডিউটি করি।

মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অটোরিকশা আটক করছি। এসব গাড়ি আটক করায় এমনও হয়েছে বিশেষ পেশার কয়েকজন ব্যক্তি রিকশা চালকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম জানান, সড়কের লেন পরিবর্তনের জন্যে আমরা ওই অংশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছিলাম। কারা যেন খুলে নিয়ে যায়। একাধিকবার দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি সড়কটি আরও চওড়া করার। আর এ সপ্তাহের মধ্যে ওই স্থানটিতে দ্রুত কাজ করা হবে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা