সিলেট অফিস
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৬ পিএম
সিলেটে সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয়ের ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি জানান, মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ৮৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী সারদা হলটি সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সংস্কারের পর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সেখানে নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। এ জন্য সংস্কৃতিকর্মীরা ওইদিন দুপুরের পর সেখানে মহড়া দেন।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপির রোডমার্চ ও সমাবেশে যোগ দিতে আসা একদল কর্মী সংস্কৃতিকর্মীদের অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা নারীসহ উপস্থিত নাট্যকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এতে বাধা দিলে কয়েকজন নেতাকর্মী দলবদ্ধ হয়ে সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরে সংস্কৃতিকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
এ সময় আহত হন লিটল থিয়েটারের আব্দুল কাইয়ূম মুকুল, নাট্যকর্মী হুমায়ুন কবির জুয়েল, চয়ন পাল শান্ত, নাট্যকার বিভাস শ্যাম যাদন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্তের ছেলে লামানুজ গুপ্ত।
খবর পেয়ে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। সারদা হলটি দেখভাল করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা ও মহানগর বিএনপির নিন্দা
হামলার ঘটনায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে জেলার সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগরের সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি অবশ্যই দুঃখজনক। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।