কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫০ পিএম
রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে মো. মানিক সরদার। প্রবা ফটো
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপসচিব রোকেয়া পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছে একটি পরিবার।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মো. মানিক সরদার বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৪০ সালে ৯০ নম্বর ঘোনাপাড়া মৌজার ১৭ শতাংশ জমি (এসএ নং ২৪৫ ও খতিয়ান নং ২৪০৯) কিনে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ঢাকা থাকলেও মা বাড়িতেই থাকেন। আমাদের বাড়িতে না থাকার সুযোগে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের মা পান্না রহমান প্রায় ৬ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। পরে জমির মালিকানা নিতে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে ১১টি মামলা দেন। এর মধ্যে ৯টি মামলার রায় আদালত আমাদের পক্ষে দিয়েছেন।‘
তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর জমি দখলে নিতে পান্না রহমান আদালতে মামলা করেন। ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতের রায়ে আমাদের জমির ওপর থাকা টিনের দুটি ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার বৃদ্ধ মা বাড়িতে একা থাকায় ঘরের কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। উপসচিব রোকেয়া পারভীন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও ক্ষমতার অপব্যবহার।’
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘উপসচিব ফোনে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং তার মা পান্না রহমানকে দিয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলছেন। প্রশাসন ও পুলিশের কথা বলে আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছেন। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। উপসচিব রোকেয়া পারভীনের পরিবারের মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ইয়ারুন্নেছা, হানিফ সরদার, শাবানা বেগমসহ পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের ফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ‘মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব’ বলেই কল কেটে দেন।