রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘নতুন ভিসানীতি নিয়ে বলা হচ্ছে কেউ যদি নির্বাচনব্যবস্থাকে ব্যাহত করে, তাহলে তাদেরকে ভিসা দেবে না। সরকার তো স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং সরকার সেটা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নির্বাচন কমিশনও অঙ্গীকারবদ্ধ।’
‘আমরা এরকম একটা নির্বাচন করতে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা নির্বাচন বানচাল করার কথা ভাবছে, অরাজকতা সৃষ্টির কথা ভাবছে; ভয় পেলে তো তাদের পাওয়ার কথা। সরকারের ওপর চাপ কেন!’ যোগ করেন তিনি।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় এক শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা শীর্ষক রাজশাহী বিভাগীয় এই শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নতুন শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের কোচিংনির্ভরতা এবং মুখস্থ বিদ্যার ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে কোচিং ব্যবসায় ভাটা পড়বে এই ভয়ে অনেকে নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করছে।’
কেরানি তৈরির শিক্ষাব্যবস্থা স্বাধীন দেশের জন্য শুভকর নয় মন্তব্য করে দীপু মনি আরও বলেন, ‘যে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের আছে তা কেরানি পয়দা করার ব্যবস্থা। কারণ তারা চেয়েছিল এখান থেকে শুধু কেরানি তৈরি করা হবে। কোনো পরিকল্পনাবিদ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী তৈরির উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। কারণ এতে তাদের ক্ষমতা হারাবার ভয় ছিল। ওই শিক্ষাব্যবস্থায় শাসক যা বলবে কেরানি তাই করবে। তবে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সেই ধারা থেকে নতুন প্রজন্মকে বের করে আনা হচ্ছে। কোয়ালিটি শিক্ষাব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী জানান, রাজশাহী বিভাগের ২৩৪টি মাদ্রাসার মধ্যে ২২৪টি মাদ্রাসার উন্নয়নে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ৫৬টি মাদ্রাসার উন্নয়নের পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিক্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের সহপরিচালক হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ। এতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার সকল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।