× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অষ্টম শ্রেণি পাস মনিরুল করতেন অস্ত্রোপচার

নওগাঁ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০৩ পিএম

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২৮ পিএম

সাপাহারে ভুয়া ডাক্তার সেজে নানা অনিয়মের কারণে মনিরুলকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন ইউএনও আবদুল্যাহ আল মামুন। প্রবা ফটো

সাপাহারে ভুয়া ডাক্তার সেজে নানা অনিয়মের কারণে মনিরুলকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন ইউএনও আবদুল্যাহ আল মামুন। প্রবা ফটো

নওগাঁর সাপাহারে অনুমোদন ছাড়াই সততা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম নামে বেসরকারি একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খোলেন মনিরুল ইসলাম স্বপন। অষ্টম শ্রেণি পাস মনিরুল সেখানে সিজারসহ নানা ধরনের চিকিৎসা চালাতেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভুয়া ডাক্তার সেজে নানা অনিয়মের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত মনিরুলকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের জেল দেন। এ ছাড়া ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে পপি খাতুন নামে এক প্রসূতি মনিরুলের ভুল চিকিৎসার খেসারত দিচ্ছেন। তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে তিনি এখন ওই ক্লিনিকে ধরনা দিচ্ছেন। 

সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্যাহ আল মামুন। এ ছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন জাহান লুনা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমীনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একজন সাংবাদিক জেলা প্রশাসককে মনিরুল ইসলামের অস্ত্রোপচারের একটি ছবি পাঠান। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক আমাকে খোঁজ নিতে বলেন। এরপর শুক্রবার সকালে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, অভিযানে গিয়ে জানা যায়, ক্লিনিকটি অনুমোদন ছাড়াই চলছিল। বিধি অনুযায়ী ক্লিনিকে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল নিজে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি আদালতের কাছে স্বীকার করলে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৬ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স না থাকাসহ চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, মনিরুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। তার ডাক্তারি কোনো সনদ নেই। এরপরও তিনি ক্লিনিক খুলে অস্ত্রোপচার করতেন। এটা খুবই ভয়ানক একটি বিষয়। কোনো প্রকার চিকিৎসা পরিবেশ নিশ্চিত ছাড়াই দীর্ঘদিন তিনি ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছিলেন। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা