জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৪ পিএম
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪০ পিএম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। প্রবা ফটো
জামালপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৭৪ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৫ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই জেনারেল হাসপাতালে দুটি ও ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে ডেঙ্গু কর্নার (ওয়ার্ড) খোলা হয়েছে। জ্বর নিয়ে কেউ হাসপাতালে এলেই ৫০ টাকার বিনিময়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাকে নির্ধারিত ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সোলাইমান হোসেন জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে প্রচণ্ড জ্বর ও শরীর ব্যথা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। পরে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। কয়েকদিনের চিকিৎসা শেষে এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানান তিনি।
তবে অনেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগও করেন। আরিফ মিয়া নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্ধারিত টাকার বাইরে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে।’
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘নির্ধারিত ফি ছাড়া বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। হাসাপাতালের কোনো স্টাফ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস বলেন, ‘প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় স্যালাইন, অক্সিজেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার অ্যান্টিজেন কিট মজুদ আছে। তবে ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট দেওয়ার ব্যবস্থা জেলার কোনো হাসপাতালে নেই। প্লাটিলেট কমে গেলে বা কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে ময়মনসিংহ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠোনো হয়।’