চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৫ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৫ পিএম
চিটাগাং চেম্বারে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবা ফটো
সরকার নাম ছাড়পত্র ও নিবন্ধনসহ প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’র রেজিস্ট্রার শেখ শোয়েবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে কেউ যদি কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করতে চায় তাকে ঢাকায় আসতে হবে না। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে শেয়ার হস্তান্তরের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া নাম ছাড়পত্র ও নিবন্ধনসহ প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে আরজেএসসি’র সব সেবা অনলাইনের মাধ্যমে চালু করা হলে পেপারলেস প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে আরজেএসসি।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে অংশীজনের মতবিনিময় উপলক্ষে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) এবং রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি)’র যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
দেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিষ্ঠানের সব সেবা নির্বিঘ্ন ও সহজ করতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন রেজিস্ট্রার শেখ শোয়েবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘এরই অংশ হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের ছাড়পত্র, রেজিস্ট্রেশন, শেয়ার হস্তান্তর সহজীকরণ করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি।’
সভায় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মাহফুজুল হক শাহ ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার রণজিৎ কুমার রায় ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার অনন্ত কুমার পাল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী এবং এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, শফিক বসাক অ্যান্ড কোং’র সম্পদ কুমার বসাক বক্তব্য দেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘সরকার যেকোন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সততা নিশ্চিতকরণে জাতীয় শুদ্ধাচার নীতি প্রণয়ন করে। এরই অংশ হিসেবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নাম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন ভোগান্তি ও জটিলতা নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার মাধ্যমে ব্যবসা সহজীকরণ হবে।’
সভায় অন্য বক্তারা জানান, কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ফি’র চেয়ে স্ট্যাম্প ফি অনেক বেশি। বড় কোম্পানি ও ছোট কোম্পানি উভয়কে একই ধরণের ট্রিট করে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। এক্ষেত্রে টার্নওভার অনুযায়ী কোম্পানি ক্যাটাগরি নির্ধারণ, স্ট্যাম্পের ফি কমানো, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক ডকুমেন্টেশন একই দপ্তরের মাধ্যমে সমাপ্ত করা এবং সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আইটি বিভাগে জনবল বাড়ানো এবং ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক খরচ ও সময় সাশ্রয়ের আহ্বান জানানো হয়।