চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৭ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার মামলায় পুলিশের সাবেক এক পরিদর্শককে পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুটি ধারার একটিতে যাবজ্জীবন, অন্যটিতে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপহরণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় মিজানুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার পরিদর্শক ছিলেন। ওই সময় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনের ছুটিতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় দায়িত্ব পালনের আগে মিজানুর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর মিজানুর রহমানকে তখনোই বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের এক ছাত্রী ও তার বন্ধু নগরীর ফয়স লেকে বেড়াতে যায়। পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে চকবাজার এলাকার আল আকাবা হোটেলে নিয়ে যায়। রাতে দুজনকে হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে ওই তরুণীকে মিজানুর ধর্ষণচেষ্টা চালান। সে সময় ওই ছাত্রী হোটেল কক্ষের শৌচাগারে আশ্রয় নেন এবং কাচ দিয়ে নিজের হাত কেটে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৬ জুলাই ছাত্রীর বাবা পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা করেন।