কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫০ পিএম
মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর সমন্বিত উন্নয়নে দ্রুত আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, ’মাতারবাড়ীকে সরকার একটি ‘ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় নিয়ে এসেছে। তার জন্য সংসদে একটি আইনও পাঠানো হয়েছে। আশা করি, আইনটি দ্রুত সেখানে পাস হবে।‘
বৃহস্পতিবার
(২১ সেপ্টেম্বর) মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন
শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এসব কথা বলেন।
এর
আগে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দরের একটি জেটিতে পৌঁছান
তিনি। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তিনি প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে কথা বলেন।
এ
সময় তার সঙ্গে ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিদ্যুৎ
বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার
অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, কক্সবাজারের জেলা
প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক।
তিনি
বলেন, ’প্রকল্প পরিদর্শন, সার্বিক অগ্রগতি দেখা ছাড়াও এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জেটি,
সড়ক ও জাহাজ চলাচলের বিষয়ে একটি সমন্বয় সভা হয়েছে। যেখানে সব স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত
থেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং করণীয় বলেছেন।’
পরিদর্শনকালে
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বলেন, ’মাতারবাড়ীর উন্নয়ন প্রকল্পটি বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ। এই প্রকল্পের কাজ যথাযত ও দ্রুত শেষ করার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের দক্ষ করতে একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বলা হয়েছে।
এটি প্রতিষ্ঠার কাজও চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা অবহিত করেছেন। এটি প্রতিষ্ঠা হলে স্থানীয়
জনগোষ্ঠী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে এই প্রকল্পে কাজ করতে পারবেন।’
পরিদর্শনকালে
৬০ দিনের কয়লা মজুদ, ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন
মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, ’মাতারবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কের ২৭ কিলোমিটার
সংযোগ সড়কের কাজও দ্রুত করা হবে। এর জন্য জমি অধিগ্রহণ ও টেন্ডার প্রক্রিয়া যৌথভাবে
চলছে।’
তিনি
বলেন, ‘মাতারবাড়ীর উন্নয়ন একটি নতুন
দিগন্তের সূচনা, যা জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
মুখ্য
সচিব বলেন, ’আগে থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের
অধীনে। এটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থাপনা করে।’
এ সময় কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এখন পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে; যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিকালে মুখ্য সচিব কালারমারছড়ায় এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শনে যান।