চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৬ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৩ পিএম
জশনে জুলুসের আয়োজন উপলক্ষে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে
জশনে জুলুসের আয়োজন করতে যাচ্ছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। দিবসটি
উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় নগরীর ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা
সংলগ্ন আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জশনে জুলুস বের করা হবে বলে
জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সুন্নিয়া
ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি
বলেন, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র নেতৃত্বে আগামী
১২ রবিউল আউয়াল (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় জশনে জুলুস শুরু হবে। জুলুসটি নগরীর ষোলশহরস্থ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল,
কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশের সড়ক হয়ে গণি বেকারি,
খাস্তগীর স্কুল, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রো, আসকার দিঘী, কাজির দেউরী মোড়, ওয়াসা, জিইসি,
২ নম্বর গেট হয়ে পুনরায় সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে গিয়ে দুপুর ১২টায়
শেষ হবে। পরে সেখানে মাহফিল শেষে যোহর নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, এবার জশনে জুলুসে
প্রধাম মেহমান হিসেবে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ ও বিশেষ মেহমান হিসেবে আল্লামা
সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসিম শাহ উপস্থিত থাকবেন।
মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আপনাদের অনেকের
ভাষ্য অনুসারে গত বছর জশনে জুলুসে অর্ধকোটি মানুষের সমাগম হয়েছে। ইনশাল্লাহ এ বছর উপস্থিতি
সংখ্যা সব কিছু ঠিক থাকলে আশা করি আরও বাড়বে। কারণ এটি এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ
নিয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাসে জশনে জুলুস এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। এখানকার
মানুষ এক জুলুস শেষ হতেই পরবর্তী বছরের জুলুসের অপেক্ষায় থাকে। মানুষ চায়, এটি শুধু
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হিসেবে নয় বরং বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে
এর জায়গা হলে তা চট্টগ্রাম ও দেশকে সম্মানিত করবে।
১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম নগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসের আয়োজন হয়ে আসছে। আল্লামা তৈয়্যব শাহ’র নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুস ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।