যোগাযোগ
কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০২ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী রুটে প্রথমবারের মতো ফেরি চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেননৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রবা ফটো
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো কুড়িগ্রামের রমনাঘাট চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় এ ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি করা হয়েছে। সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে কোনো ভাড়া লাগবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেনÑ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রমুখ।
ফেরি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে উন্নয়নের নতুন মাত্রা যোগ হলো। অবসান হলো জেলার চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাবাসীর ৫২ বছরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমল প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ। ফেরি উদ্বোধনে খুশি এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।
রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘চিলমারী-রৌমারী ফেরি চালুর দাবিতে ১৪ বছর থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। ফেরি চলাচল এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তবে দারিদ্র্যপীড়িত জেলার মানুষের কথা বিবেচনা করে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। তবেই এখানকার মানুষ রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’
রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলাবাসীর দুঃখ ব্রহ্মপুত্র নদ। জনপদটির লাখো মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের ভরসা নৌপথ। বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি বেড়ে যায় নৌপথে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে আটকে যায় নৌকা। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না যাত্রীদের। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া আর সময়ক্ষেপণ তো ছিলই। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় ভোগান্তির অবসান হলো। ফেরি চলাচল করায় পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর-শেরপুরসহ এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে জানান স্থানীয়রা।