জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৪ এএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:১৯ এএম
তাঁতী লীগ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সহিদুর রহমান লিপন। প্রবা ফটো
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে সমালোচনার মুখে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব মো. আরমান হোসেন সাগর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে সোমবার সকালে হত্যা মামলার ওই আসামিকে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো. আবদুল করিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি সহিদুর রহমান লিপন। ওই হত্যার পর থেকে লিপন পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়ে এলাকায় আসেন। সোমবার সকালে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী তিন বছরের জন্য লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে ৭১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামিকে সভাপতি নির্বাচিত করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে সেদিন বিকালেই তাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব বলেন, ‘সহিদুর রহমান লিপন সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামি জানার পরই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ওই কমিটির সহসভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান নাজমুলকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কমিটির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। কিন্তু আমরা তাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তার জায়গায় সহসভাপতি মো. মাহবুবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেছি। সেই চিঠি আর কেউ ফেসবুকে দেয়নি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।’
চলতি বছরের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। পর দিন ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর হয়। নাদিম নিহতের ঘটনায় ১৭ জুন বকশীগঞ্জ থানায় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম। সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন প্রধান আসামি বাবুসহ ১৭ জন। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন দুজন। উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছেন এজাহারভুক্ত সাত আসামি। এখনও পলাতক রয়েছেন বাবুর ছেলে রিফাতসহ পাঁচ আসামি। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পর এখন মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।