এস এম রানা, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে ফিরে
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৪ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৬ পিএম
বঙ্গবন্ধু টানেল। প্রবা ফটো
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বিনিয়োগ নিয়ে আসছে ১৫২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে পাঁচটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এই শিল্পনগরে অন্তত ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে এই শিল্পনগরী। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের এই প্রকল্পে এরইমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ শিল্প বিনিয়োগের যতগুলো সুযোগ-সুবিধা আছে সব নিশ্চিত করে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৩৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণের নিরাপত্তার পাশাপাশি শিল্প নগরীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন থানা প্রতিষ্ঠার যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
দুপুর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের একাধিক শিল্পকারখানা ঘুরে দেখেন মুখ্যসচিব। পরে বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সন্ধ্যার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সরেজমিন পরিদর্শন করতে যান। সেখানে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল উদ্বোধন করবেন। এরপর সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক মেগাপ্রকল্প। দেশের প্রকৌশলীরা অসাধারণ কর্ম-নৈপুণ্যের মাধ্যমে এটি আমাদের উপহার দিচ্ছেন। এই স্থাপত্য বিরাট সাফল্য। এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি।’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে টানেলকে যুক্ত করা। টানেলকে কেন্দ্র করে নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, এটা আমরা ধরে রাখতে চাই। খুব উৎসব আনন্দের সঙ্গে এটা উদ্বোধন করতে চাই। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেল তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিটে পার হওয়া যাবে। নদীর তল দেশের ১৮ থেকে ৩০ মিটার নিচ দিয়ে মানুষ চলে যাবে।’
টানেলের দুই প্রান্তে দুটি থানা স্থাপনের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত থানা স্থাপন না হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি ক্যাম্প হয়ে গেছে। নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকবে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
এই সময় মুখ্য সচিবের সঙ্গে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনূর রশিদ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।