বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০৩ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৪ পিএম
সম্মেলনের প্রায় ৭ বছর পর বগুড়ায় যুবলীগের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল জেলা যুবলীগের কমিটি অনুমোদন দেন। অনুমোদিত সেই তালিকা ওই দিন সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই তালিকায় সহসভাপতির তিনটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, অনুমোদনের জন্য ১০১ সদস্যের নামের তালিকাই কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফখরুল ওয়াহেদ খান সাহেদ, আনোয়ার হোসেন ও সিদ্দিকুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়।
সাহেদ-আনোয়ারকে সহসভাপতি এবং সিদ্দিকুর রহমানের নাম সদস্য হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে কী কারণে তাদের নাম বাদ দেওয়া হলো, সে ব্যাপারে স্থানীয় নেতারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।
কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ অপেক্ষার পর কমিটি অনুমোদিত হওয়ায় তারা বেশ খুশি। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এত দিন তারা সাংগঠনিকভাবে কোনো পরিচয় দিতে পারতেন না। সেই সংকটটা কেটেছে এবার।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ’পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কারণে নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকার কারণে এত দিন উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে সংগঠনের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছিল না। এখন পর্যায়ক্রমে তা শুরু করা হবে।
বগুড়ায় যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও আমিনুল ইসলাম ডাবলু যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে দুই নেতা ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা তৈরি করতেই এক বছর লেগে যায়। পরে তারা সমঝোতা করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠান।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, প্রথম পাঠানো ওই তালিকা থেকে পনেরোটি পদের পাশে নামের ঘর ফাঁকা রাখার জন্য কেন্দ্র থেকে বলা হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৯ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বার পাঠানো তালিকায় কয়েকটি পদ ফাঁকাও রাখা হয়। কিন্তু তার পরেও অনুমোদন মেলেনি। উল্টো ২০১৯ সালের অক্টোবরে যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়া হলে বগুড়ার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি ঝুলে যায়। এরপর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন নেতৃত্ব আসার পর তৃতীয়বারের মতো বগুড়ার প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়। তারপরেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সর্বশেষ ২০২০ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে চতুর্থবার ওই তালিকা জমা দেওয়া হয়।