চট্টগ্রামে বিএনপির প্রস্তুতি সভা
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চের প্রস্তুতি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি : প্রবা
চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চের প্রস্তুতি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি ছুরিকাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মহানগর বিএনপির সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। বিস্তারিত জানি না।’
আগামী ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের রোডমার্চ শুরু হবে। রোডমার্চ সফল করতে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। এ ছাড়াও দলটির কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও এনামুল হক এনামের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রস্তুতি সভা শেষে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে হওয়ার মুখে হামলার শিকার হন রবিউল হাসান। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সভা শুরু হয়। সভা শুরুর আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সভা শুরুর আগে পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান জুয়েল দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সময় শাহজাহান জুয়েলকে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন এনামুল হকের সমর্থকরা। এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ সভায় যোগ দিতে কার্যালয়ে প্রবেশের সময় তাকে ধাওয়া দেন এনামের অনুসারীরা। এ সময় মহানগর যুবদলের সহসভাপতি গাজী সিরাজ ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন তাদের থামাতে গেলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে একপর্যায়ে এনামের অনুসারীদের ধাওয়া দেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পরে সাড়ে ৪টার দিকে সভা শেষে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পথে হামলার শিকার হন রবি। তাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় গাজী সিরাজ তাকে কার্যালয়ের ভেতর নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নেতাকর্মীরা কেউ কথা বলতে চাননি। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও এনামুল হক এনামকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক নেতা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শাহজাহান জুয়েল দীর্ঘদিন দলীয় কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয়। এখন পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে দেখে আবার সক্রিয় হতে চাইছেন। ৮-১০ দিন আগে মোস্তাকের বাসায় গোপনে বৈঠক করেন। এরপর আজকের সভায় আসেন। এটাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। তা নিয়ে এ সংঘর্ষ।’