× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কম খরচে লাভ বেশি

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ঝোঁক সবার

মেহেদী হাসান শিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:২২ এএম

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম

মাচায় ঝুলছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। সম্প্রতি ভোলাহাটের ময়ামারি এলাকায়। প্রবা ফটো

মাচায় ঝুলছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। সম্প্রতি ভোলাহাটের ময়ামারি এলাকায়। প্রবা ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হচ্ছে। দ্রুত সময় আর বছরে দুবার এই তরমুজ ফলন হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ আর বিক্রিতে ঝামেলা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে এ তরমুজের চাষ। বীজসহ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি অফিস।

সরেজমিন দেখা গেছে, ‘আধুনিক প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় উপজেলার ময়ামারি এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে। ফলে পোকামাকড় আর গাছের গোড়ায় আগাছা না জন্মানোয় বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে না কৃষকদের। এখন বাংলালিংক, ব্লাককুইন, হানিডিউ, গোল্ডেন প্লামার কিং জাতের তরমুজ মাচায় ঝুলছে।

আগে এসব জমিতে শসা, ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজি চাষাবাদ হতো। দীর্ঘ সময় পর ফলন আর কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় সবজি চাষাবাদে মুখ ফিরিয়ে গ্রীষ্মকালীন তরমুজে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ভোলাহাটে প্রথম গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ শুরু করেছিলেন কৃষক আমিরুল ইসলাম। তিনি যে জমিতে তরমুজ চাষ করছেন, সেখানে আগে শসা, ঝিঙে, মিষ্টি কুমড়া চাষ করতেন। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা তাকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমদিকে তরমুজ চাষে অনীহা থাকলেও সাহস করে জমিতে বীজ রোপণ করি। মালচিং পেপার থাকায় বাড়তি পরিচর্যা করতে হয়নি। ভালো ফলন হওয়ায় আশানুরূপ লাভও হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো এ তরমুজের বীজ রোপণ করেছি। আশা করছি এবারও লাভবান হব।’

তরমুজ বিক্রি করতে কোনো সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তরমুজ বিক্রি করতে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না। অসময়ে তরমুজ হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। এ ছাড়া ঢাকার পাইকাররা এসে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশানুরূপ দামও পাওয়া যাচ্ছে।’ অল্প সময়ের ফলন আর বাড়তি পরিচর্যা করতে হয় না বলে কৃষকরা এই তরমুজ চাষে লাভবান হবেন বলেও মনে করেন আমিরুল ইসলাম।

আরেক কৃষক আনসার আলী জানান, অন্যান্য সবজি চাষ করতেন তার জমিতে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ বেশি লাভজনক, ফলনও ভালো; এমন কথা শুনে চাষাবাদে উদ্যোগী হন। সবজির চেয়ে এসব তরমুজ চাষে দেড়-দ্বিগুণ লাভ হয়। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা তরমুজের বীজ, মালচিং পেপার দিয়ে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া তারা ক্ষেতে আসেন, পরামর্শ দেন। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।’

আশরাফুল আলম নামে আরেক কৃষক বলেন, ‘মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কম পরিশ্রমে লাভবান হওয়া যায়। এ তরমুজ একসাথে তোলা যায় আর বাজারজাতে কোনো ঝামেলা হয় না। এবার কম জমিতে তরমুজের বীজ লাগিয়েছিলাম, ফলন ভালো হয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষাবাদের ইচ্ছা আছে।’

দুই মাসের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ পরিপক্ব হয়। এসব তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি হয়। ভোলাহাটের প্রায় ৫ একর জমিতে এই তরমুজের চাষাবাদ হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলী। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন তরমুজের বীজ, মালচিং পেপার ও পরিচর্যা বাবদ অর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সব ধরনের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তাই উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।’ আগামী বছর ৫০ বিঘা জমিতে এই তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা