মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
পাকুন্দিয়ায় সুরমা আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সুরমা আক্তার নামে অসহায় এক নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিয়ের পরপরই অন্তঃসত্ত্বা হন সুরমা। এরই মধ্যে স্বামী মারা যান বজ্রপাতে। স্বামীকে হারিয়ে অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন এ নারী।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর অল্প সময়ে তাকে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এনে ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সুরমার পরিবারে। সুরমা আক্তার উপজেলার আঙ্গিয়াদী গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের মেয়ে। একই গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুরমা আক্তার একজন অসহায় নারী। বিবাহিত জীবনের মাত্র চার মাস সংসার করার পর দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীকে হারান। বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ১৬ জুন বজ্রপাতে তার স্বামী হেদায়েত উল্লাহ মারা যান। এরপর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে তার জীবনে। বাবা ও শ্বশুর উভয় পরিবারই আর্থিকভাবে অসচ্ছল। অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না তার।
বিষয়টি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্তের নজরে আসে। অসহায় নারীর বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে অবগত করেন। ওই নারীর অসহায়ত্বের বিষয়টি শুনে ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরী দ্রুত তাকে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করতে বলেন।
সুরমা আক্তার বলেন, ’আমি একজন অসহায় নারী। আমার স্বামী বজ্রপাতে মারা গেছেন। আমি বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল। ভাতা কার্ডটি আমার অসহায় পরিবারকে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে। আমি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত বলেন, ’মা ও শিশু সহায়তা কার্ডের আওতায় প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে পাবেন সুরমা আক্তার। আগামী তিন বছর পর্যন্ত তিনি এ ভাতা সুবিধা পাবেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ’অসহায় ওই নারীর বিষয়টি আমার নজরে এলে দ্রুত তাকে মা ও শিশু সহায়তা কার্ডের আওতায় আনতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বলে দিই। এতে কিছুটা হলেও ওই নারী উপকৃত হবেন।’