চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক আটক

চট্টগ্রামে তানহা আক্তার মারিয়া নামের সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকার চান্দের বাড়ির দিদার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। 

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিবুল ইসলাম মুন্না নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মুন্না কক্সবাজার জেলা সদরের কক্সশাহীর টিকা এলাকার বাসিন্দা।

তানহা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামদয়াল এলাকার মো. বাকের হোসেনের মেয়ে। ওই এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করত সে। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল তানহা। 

চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গলার দুই পাশে কালো দাগ আছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় একটি ডোবা থেকে মুন্নাকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শিশুটির মা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আর বাবা রিকশাচালক। বাবা-মা কাজে যাওয়ার পর শিশুটি বাসায় একা ছিল। প্রতিবেশী এক নারী ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে উঁকি দেন। তখন দরজা খুলে এক যুবককে দ্রুত পালাতে দেখেন। বাসায় ঢুকে বিছানার ওপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। 

তানহার বাবা বাকের হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী সকাল সাড়ে ৭টায় কর্মস্থলে চলে যায়। পৌনে ৮টার দিকে মেয়েকে বাসায় রেখে বের হয়েছিলাম। রিকশা নিয়ে বের হয়ে মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে প্রতিবেশী এক নারী এসে খবর দেন বাসায় মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।’