× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রকৌশলীকে ‘ঘুষ না দেওয়ায়’ মজুরি পাননি দেড়শ শ্রমিক

অঞ্চলিক প্রতিবেদক, পটুয়াখালী

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৮ পিএম

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫০ পিএম

সংগৃহীত ফটো

সংগৃহীত ফটো

দাবিকৃত টাকার ভাগ না পাওয়ায় ক্রিপ প্রকল্পের দেড়শ শ্রমিকের মজুরি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকিরের বিরুদ্ধে। ফলে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৫ জুন মেয়াদ শেষ হওয়া প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্ধ কোটি টাকা ফেরত গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এমন অভিযোগ এনে সংস্কার শ্রমিক শাহিনুর, রিজিয়া, কাজল, শাহানাজ এবং মোসা. রুমা গত ৪ জুলাই এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

গত ২৪ আগস্ট মাঠ পর্যায়ে অভিযোগটির তদন্ত করেন এলজিইডির বরিশাল অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তদন্তকালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্বাক্ষ্য দেন অসংখ্য ভুক্তভোগী।

এ প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকগুলো ঘটনায় তদন্ত করেছি। বরাদ্দ ফেরত গেছে এটা অসত্য নয়। তবে কাগজপত্র সঠিক পেয়েছি। এসব বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

শ্রমিকদের অভিযোগ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ক্রিপ প্রকল্পের আওতায় এলসিএস (সমিতি) গঠন করে সড়ক সংস্কার করেন দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ। প্রথম ধাপে কাজের মজুরি বাবদ তাদের ৮ লাখ টাকা দেন এলজিইডি। কাজ শেষ করে চুড়ান্ত বিল পেতে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ২২ জুন বিলের ফাইলটি অনুমোদনের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলীর টেবিলে দাখিল করেন।

এ সময় সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকির শ্রমিকদের কাছে অর্ধ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করতে অগ্রীম ৩ শতাংশ ঘুষ দাবি করেন। শ্রমিকরা এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বিলটি আটকে দেন শাকির। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ২৫ জুন প্রকল্পের অর্ধ কোটি টাকা ফেরত যায়, যা নিয়ে শ্রমিকরা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ‘অনেক এলাকায় কাজ হয়নি, অথচ কাগজপত্রে শতভাগ কাজ দেখিয়ে সম্পূর্ণ বিল প্রদান করা হয়েছে। আমরা শাকির স্যারকে ঘুষ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কাজের মজুরি নিয়ে ঘরে যেতে পারিনি।’ 

এলজিইডির একাধিক ঠিকাদার বলেন, অভিযুক্ত শাকির টেন্ডারে অনিয়ম-দুর্নীতি, বিলের ফাইল আটকে অতিরিক্ত ঘুস আদায়, ঠিকাদারদের অবমুল্যায়ন ও অসদাচরন করে আসছেন। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নামে বে-নামে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শাকিরের ঘুষ বাণিজ্যে পটুয়াখালী-বরগুনা প্রকল্পের অন্তত ৩০ কোটি টাকা ফেরত গেছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন পটুয়াখালী দুর্নীতি দমনের একটি টিম। 

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আহম্মেদ আলী বলেন, ‘উল্লেখিত বিলটি গত ২২ জুন আমার দপ্তর থেকে ছেড়ে দিয়েছি, পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমার জানার কথা নয়।’ 

অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী প্রকৌশলী শাকির বলেন, ‘ক্রিপ প্রকল্পের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই, অভিযোগটি সত্য নয়।’ 

অথচ সংশ্লিষ্ট সুত্র বলছে চুড়ান্ত অর্থ পরিশোধে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যয়ন দেয়ার বিধান রয়েছে। এসব প্রসঙ্গে পটুয়াখালী এলজিইডির র্নিবাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, মিস কমিউনিকেশনে কিছু সমস্যা হয়েছে। আমি সব কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি এবং আনব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা