মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৫ পিএম
কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রবা ফটো
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনের
ওপর নির্ভর করে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে
সব দল অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। এর সঙ্গে
নির্বাচন কমিশন তথা আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ
সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের
উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর এবং আমরা তা করব। গত দেড় বছরে সব দলকে একাধিকবার
আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা
নির্বাচনে আসেন।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক,
অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে হলে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর।
এক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার
জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সফরে
এসেছি। এই এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্রের তালিকা আমরা
পেয়েছি। ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরিতে ডিসি-এসপির নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস,
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে মেম্বার সেক্রেটারি
করে কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটি যে কেন্দ্রগুলোর তালিকা পাঠিয়েছে সেগুলোর মধ্যে কোনো
অভিযোগ থাকলে সেগুলো নিষ্পত্তি করার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ও দেওয়া হয়েছিল।
সেই সময়ের মধ্যে তালিকা না হলে নির্বাচন কমিশন আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তালিকা শেষ
করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরে আর ভোটার তালিকা সংশোধন-সংযোজন করার কোনো সুযোগ থাকবে
না।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘নভেম্বরের শুরুর
দিকে তফসিল ঘোষণা করার কথা আছে। নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সমাধান করবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার
নেই। আমরা সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন দেব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা অনেকবার
ডেকেছি। তাদের জন্য আমাদের দরজা এখনও খোলা রয়েছে। তারা যদি আসতে চায় আমরা তাদের সাধুবাদ
জানাব। আমরা চাই সবাই মিলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, এটাই কমিশনের প্রত্যাশা।’
আনিছুর রহমান জেলা নির্বাচন অফিসারের
সম্মেলন কক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা-উপজেলা নির্বাচন অফিসারের অংশগ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র
ও প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন। পরে বেলা ৩টার দিকে সদর
উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক
মো. আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আশরাফুল
ইসলাম প্রমুখ।
আগামীকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলার হাওর উপজেলার
মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। পরের দিন
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জেলার হাওর উপজেলা নিকলী উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন
করবেন। পরে দুপুরের দিকে নিকলী থেকে ঢাকার উদেশে রওনা দেবেন তিনি।