চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৭ পিএম
পোশাক কারখানার কাপড় চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিদের কয়েকজন। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার চুরি হওয়া কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পটিয়ার নিট অ্যাপারেলস গ্রুপের ১০১ রোল কাপড় চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্তে শেষে এ ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি পাঁচজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন- মো. আবুল বশর প্রধান, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ হৃদয়, মোহাম্মদ মুজিবুল হক, মো. পারভেজ, মো. ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ ভান্ডারি প্রকাশ কালু, মো. আলমগীর, মো. সামছুল আলম, মো. মাসুদ আলম প্রকাশ পিচ্ছি মাসুদ ও মো. আরিফুর রহমান চৌধুরী।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, ‘এ ঘটনার ১৮ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্টের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায় রাতে ১টা থেকে ৩টার মধ্যে আসামিরা মুখোশ পরে জানালার গ্রিল কেটে ওই গার্মেন্টসের ওয়্যারহাউস থেকে কাপড়গুলো চুরি করে। পরে সেগুলো তাদের ব্যবহৃত পিকআপ গাড়িতে করে করে নিয়ে যায়। ওই সূত্র ধরেই আমরা নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন কাটাপাহাড় লেইন থেকে চুরি হওয়া কাপড়গুলো উদ্ধার করি। পরে এর সঙ্গে জড়িতে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিদের তথ্যমতে ঘটনায় ব্যবহৃত চট্ট মেট্রো চ-১১-৫৩৩৬ নম্বরের প্রাইভেট কার সীতাকুণ্ড থানাধীন শীতলপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।’
এ বিষয়ে পিবিআই সহকারী পুলিশ সুপার একে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘তদন্তে গার্মেন্টস থেকে কাপড় চুরির ঘটনায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সক্রিয় গ্রুপের সন্ধান পেয়েছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন সরাসরি কাপড় চুরি করেন। কেউ মধ্যস্থতা করেন। আর অন্যরা চুরির কাপড় কম দামে কেনেন। পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৫ জন মধ্যস্থতাকারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’