সাইবার নিরাপত্তা আইন
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৪ পিএম
সাংবাদিকদের আপত্তি থাকা সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদানের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সাংবাদিকদের আপত্তি থাকায় ধারায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি বিষয় বাদে বাকিগুলোতে বিনা পরোয়ানায় কাউকে গেপ্তারেরও সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মাত্র চারটি আমলযোগ্য ধারা আছে। আর সবগুলি নন-কগনিজিবল অফেন্স। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার অধিকার বা সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। সেজন্য আমি বলব এ বিষয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র।’
ধারায় সাজার বিধান নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারাগুলো নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় যে গ্রেপ্তারের কথা বলা হচ্ছে- সেটার কিন্তু শর্ত আছে। একটা হচ্ছে এটা আমলযোগ্য অপরাধ হতে হবে।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা ইতিহাস দেখলে দেখবেন তারা কোনোদিন কিন্তু সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনাই। সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই। আর ক্ষমতায় বইসা তারপর তারা দল সৃষ্টি করছে।’
এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও জয়ী করতে ভোট চান তিনি।